প্রশ্ন : বিবেকানন্দ যে ‘মাদার রিলিজম’ - এর কথা বলেছিলেন তার উপাদানগুলি কি কি ?
উত্তর : যে উপাদানগুলির উপর ভিত্তি করে বিবেকানন্দ ‘মাদার রিলিজন’ - এর কথা বলেছিলেন সেগুলি হল — ভারতীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় আবেগ ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দের মতে ভারতের জাতীয় উদ্দেশ্য কি ছিল ?
উত্তর : স্বামীজির মতানুযায়ী ভারতের রাজনৈতিক - সামাজিক স্বাধীনতা অর্জন জাতীয় উদ্দেশ্য ছিল না । পরমার্থিক স্বাধীনতা — মুক্তিলাভ ছিল ভারতের জাতীয় জীবনের উদ্দেশ্য ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দ শিক্ষা বলতে কি বুঝিয়েছেন ?
উত্তর : বিবেকানন্দ শিক্ষা বলতে বুঝিয়েছিলেন মানুষর ভিতর যে পূর্ণতা প্রথম হইতেই বর্তমান , তা প্রকাশ করাকেই শিক্ষা বলে ব্যক্ত করেছিলেন ।
প্রশ্ন : স্বামী বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদের প্রধান স্তম্ভগুলি কি ছিল ?
উত্তর : বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদের প্রধান চারটি স্তম্ভ হল — ( ১ ) জাতীয় জীবনের মূল ভিত্তি যে জনসাধারণ তাদের জাগরিত করে তােলা ( ২ ) ভারতবাসীর নৈতিক বিকাশ ঘটানাে । ( ৩ ) আধ্যাত্মিক চেতনার ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তােলা । ( ৪ ) অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবকে শ্রদ্ধা করা ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দের জীবনের মহামন্ত্র কী ছিল ? উত্তর : বিবেকানন্দের জীবনের মহামন্ত্র ছিল মানুষের সেবা ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দ কোন দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন ? তার দর্শন কোথায় মিশেছিল ।
উত্তর : অদ্বৈত ও বেদান্ত দর্শনে বিবেকানন্দ বিশ্বাসী ছিলেন । মানবতার মহাসমুদ্রে তার দর্শন মিলিত হয়েছিল ।
প্রশ্ন : ভারতবর্ষের কোন দুটি ক্ষতিকর দিকের কথা স্বামীজি তুলে ধরেছিলেন ?
উত্তর : ( ১ ) নারীজাতিকে পদদলিত করা , ( ২ ) জাত -পাতের নামে গরিব মানুষকে শােষণ করা ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করাে ?
উত্তর : ( ১ ) প্রাচ্যও পাশ্চাত্য , ( ২ ) বর্তমান ভারত ।
প্রশ্ন : রামকৃষ্ণ মিশনের প্রচারের স্বার্থে বিবেকানন্দ প্রবর্তিত দুটি পত্রিকার নাম লেখ ।
উত্তর : ( ১ ) উদ্বোধন ( কলকাতা থেকে প্রকাশিত ) , ( ২ ) প্রবুদ্ধ ভারত ( আলমে থেকে প্রকাশিত ) ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দের মতানুযায়ী ভারতের জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির দুটি প্রয়ােজনীয় পূর্বশর্ত কি ছিলাে ?
উত্তর : ( ১ ) ধর্মীয় ঐক্য সৃষ্টি করা ( ২ ) সর্বধর্মের সমন্বয় সাধন করা । ( ৩ ) দারিদ্র দূরীকরণ এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ।
প্রশ্ন : স্বামী বিবেকানন্দ চিহ্নিত ভারতের ভয়াবহ দারিদ্রের দুটি কারণ উল্লেখ করে ?
উত্তর : ( ১ ) ব্রিটিশ কর্তৃক ভারতের অর্থনৈতিক শােষণ । ( ২ ) ভারতের অভিজাত , জমিদার ও পুরােহিত শ্রেণির নির্মম সামাজিক শােষণ ও অত্যাচার ।
প্রশ্ন : দরিদ্র মানুষকে বিবেকানন্দ কি নামে অভিহিত করেছিলেন এবং কেন ?
উত্তর : স্বামী বিবেকানন্দ দরিদ্র মানুষকে বলতেন ‘দরিদ্র নারায়ণ’ । এই ‘দরিদ্র নারায়ণ’ কথাটির অর্থ — দারিদ্র্য ও অনুন্নতদের মধ্যস্থিত ভগবান ।
প্রশ্ন : বিবেকানন্দ কিরূপ ভারতের কথা বলেছিলেন ?
উত্তর : জনশক্তির জাগরণ , জনজীবনের সার্বিক উন্নতি, শােষণমুক্ত গণরাজ্য , দায়িত্ব সচেতন এক জনসমাদৃষ্ট হল তার রাষ্ট্র । দরিদ্র, নিপীড়িত অথচ প্রাণশক্তিতে ভরপুর এক ভারতবর্ষ তিনি চেয়েছিলেন । এই ভারতে গণচেতনার বিকাশ ঘটবে , শিক্ষার প্রসার ঘটবে , কর্মের সুযােগ থাকবে এবং মানুষ তার ভাগ্য নিজেই নির্ধারণ করবে ।
প্রশ্ন : ‘বর্তমান ভারত’ প্রবন্ধে বিবেকানন্দ মানবসমাজের যে চারটি বর্ণ- র কথা বলেছিলেন সেগুলি কি কি ?
উত্তর : ( ১ ) পুরােহিত ( ২ ) সৈনিক ( 3 ) ব্যবসায়ী ( ৪ ) মজুর ।