জয়প্রকাশ নারায়ণের গণতান্ত্রিক ধারণাটি আলােচনা করো ।

অনাস পাস রাষ্ট্রবিজ্ঞান honours pass general political science জয়প্রকাশ নারায়ণের গণতান্ত্রিক ধারণাটি আলােচনা করো joyprokash Narayaner gonotantrik dharonati alochona koro questions answers



উত্তর । জয়প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন ভারতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি,কংগ্রেস সােস্যালিস্ট পার্টির অন্যতম পুরােধা ও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি । তার অন্যতম পরিচয় হল যে লােকশক্তির অপরিসীম গুরুত্বকে নানাক্ষেত্রে তুলে ধরার কারণে তিনি সমগ্র ভারতে ‘লােকনায়ক ’ নামে পরিচিত ছিলেন । তার আরও এক পরিচয় পাওয়া যায় যে , তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ বিপ্লব নামক এক অভিনব বিপ্লবের ধারণার প্রবক্তা । ছিলেন বিংশ শতাব্দীর লােক । তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০২   খ্রিস্টাব্দে ১২ অক্টোবর এবং মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে ৮ অক্টোবর ।


 সাধারণ সমাজতন্ত্রে উত্তরণের পন্থা হিসেবে জয়প্রকাশ নারায়ণ কোনাে গােড়ামির পরিবর্তে পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন । তার মতে মার্কস সহিংস ও শান্তিপূর্ণ দুধরনের বিপ্লবের সম্ভাবনাময় উল্লেখ করেছেন । ফলে ‘We must be ready to adopt whatever methods and tactics.a changing situation might demand . 
 
এই খােলামন সত্ত্বেও কিন্তু J.P. শান্তিপূর্ণ পদ্ধতির দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন । তার মতে , মার্কসের সময়কালের তুলনায় রাজনৈতিক গণতন্ত্র বেশি প্রসারিত হয়েছে । ধনতন্ত্রের অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও আদর্শগত শক্তি ইউরােপে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে । ব্রিটেনেও তার দুর্বলতা বেড়েছে বহুগুণ । আর এসবের ফলে শান্তিপূর্ণ পথে সমাজতন্ত্রে বহুগুণ । আর এসবের ফলে শান্তিপূর্ণ  পথে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের সম্ভাবনাও বেড়েছে বহুগুণ । 

ব্যক্তিগতভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই যে তার পছন্দ একই নিবন্ধে সে কথাও জানিয়েছেন জে.পি.  -Speaking for my self . I would choose the  democratice member the goal I have laid down in that of democratic Socialism .'

 ১৯৪৭ - এর স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে এবং ১৯৫৩ সালে পুনর্বার জে . পি এই আসা ব্যক্ত করেছেন যে ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক বাতাবরণে শান্তিপূর্ণ পথে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব বলেই তিনি বিশ্বাস করেন ।  তবে তিনি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় দলহীন গণতন্ত্র বিশ্বাসী ছিলেন । তার মতে , জনগণের সহযােগিতামূলক গণতন্ত্র হল দলহীন  গণতন্ত্র । যার অবস্থিতি লক্ষ্য করা যায় জনশক্তি বা লােকশক্তির অধীনে , দল বা রাষ্ট্রের অধীনে নয় | বহুতর সভা, মিছিল, ধর্মঘট , আন্দোলন প্রভৃতি উপায় পদ্ধতির মাধ্যমে দলহীন গণতন্ত্র জনসাধারণের সহযােগিতায় কার্যকর ও অব্যহত থাকে । কাজেই সমাজ সংগঠনও পুনর্গঠনের বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ , তাদের ঐক্যমত , তাদের সামাজিক দায়িত্বশীলতা তাদের সাহায্য ও সহযােগিতা প্রভৃতির উপর ভিত্তিশীল এক যুদ্ধ ও কার্যকর গণতন্ত্র হল ‘দলহীন গণতন্ত্র ’
 

   
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন